আমরা আসলে কী চাই?
এক মেডিকেল কোচিং সেন্টারের মালিক ডাঃকে ধরা হয়েছে। গত ১৮ বছরে ৪০০০ ছাত্রকে সে পাবলিক মেডিকেলে অবৈধভাবে চান্স পেতে অর্থের বিনিময়ে কাজ করেছে।
ঘটনাটা কী ভয়াবহ! মেডিকেলে চান্স পাওয়া এই গুরুর বিষয়টা কোথাও কোন আলাপ নেই। দেশ নিয়ে বড় বড় কথা বলা সবাই চুপ। লম্বা লম্বা বোলচাল দেয়া, সোশ্যাল মিডিয়া গরম করা লোকজন যাদের মধ্যে আমাদের অনেক প্রিয় ডাক্তাররাও আছেন, সবাই যেন মুখে কী দিয়ে অন্য আলাপে ব্যস্ত!
এক একজনকে চান্স পাওয়াতে গড়ে ৪০ লাখ টাকা নিয়েছে। ৪০০০x৪০ লাখ টাকা = কত টাকা?
এই যে ৪০০০ ভেজাল ঢুকে গেলো, যাদের পেছনে রাষ্ট্রের আরও কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে, এর দায় কে নিবে?
এই যে ৪০০০ ভালো বা যোগ্য ছেলেমেয়েদের বঞ্চিত করেছে, তার দায় কে নিবো? যে ভালো ৪০০০ ছেলেমেয়ের ডাক্তার হওয়ার কথা ছিলো, তারা না হয়ে টাকা দিয়ে রেজাল্ট পালটে দিলো সেইসব অশুভ অমানুষগুলো।
এরাই তো ঔষধ কোম্পানির দালাল হবে। ঔষধ কোম্পানি ৪০০০ ফ্রি দালাল পেয়ে যাবে। যারা ঔষধ কোম্পানির হাতে হাজার কোটি টাকা তুলে দিবে আর মানুষকে নিঃস্ব করে লাখ কোটি টাকা চুষে নিবে ক্লিনিক মালিক, দালাল সবাই মিলে।
কী ভয়াবহ কাণ্ড ঘটিয়ে গেছে এই ডাক্তার, এবং ডাক্তারদের একটি বড় জোট এই অপকর্মে জড়িত।
অথচ কোথাও শব্দ নেই। র্যাব, গোয়েন্দাবিভাগ তদন্ত করছে। কিন্তু এত বছর চললো কীভাবে এই ভয়ংকর অপকর্ম? আমরা কেউ কথা বলছি না কেন?
এই যে আমাদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড - এর শেষ কোথায়? এই যে আমাদের ভণ্ডামি এর শেষ কোথায়?
আমাদের ভণ্ডামির জন্যেই বড় বড় দানবরা তৈরি হচ্ছে। আমরা কেউ পিছিয়ে নেই।
চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষক, রাজনীতিবিদ - সবাই লুটপাট করে খাচ্ছে এক মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত প্রিয় বাংলাদেশকে।
No comments:
Post a Comment