Friday, November 23, 2012

দুর্নীতিবাজের আত্মকথা

দুর্নীতিবাজের আত্মকথা

দুর্নীতিবাজের আত্মকথা-
নিযাম দরবেশ
আমার কথা,
যদি পারিস, পারলে ঠেকা
তোরা পারিস শুধু বলতে কথা,করতে সময় নষ্ট,
আসল কাজে তোরা, বড্ড বেশি ব্যর্থ।
কেন করিস চিকার,
কি তোদের দরকার?
একটা চাকরি, কয়টা টাকা বেতন-
তার জন্য কেন এত নাচন কুর্দন!
তোদের কে ব্যস্ত রাখি কত রকম খেলায়-
তা বোঝার মত পাবি না তোরা কোনই সময়।
স্বাধীন হলো দেশ, তাতে লাভ কি হলো তোর?
আমার যাত লাভ তাতে তোরাই জোগানদার!
৪০ বছরে আমরা হয়েছি কতই না অভিজ্ঞ, সমৃদ্ধ;
তোদের মত বোকারা কি করে করবি যুদ্ধ
না পেয়ে, না খেয়ে তোদের এমন হয়েছে দশা-
বিক্রি হয়ে যাওয়ার জন্য তোদের ভীষণ পিপাসা!
চিকারের আড়ালে তোরা কত কি করিস,
এক পেট খাওয়ার জন্য সে আমাদের কাছেই হাত পাতিস!
আমরা দুর্নীতিবাজ, করছি দুর্নীতি মহাসমারোহে,
পারলে ঠেকা, সামর্থ্য যদি তোদের এতটুকুও থাকে।
তোরা কোথায়, আর আমরা কোথায়,
ভাবনা একটু ঠান্ডা মাথায়!
মিছে চিতকার, মিছে কাব্য;
আমরাই আছি, আমরাই থাকবো।
তোরা শুধু করবি চিকার
কর কর কর।

দুর্নীতিবাজের আত্মকথা

দুর্নীতিবাজের আত্মকথা

Thursday, November 8, 2012

ঐকমত্যের শুধু একটি স্থান রয়েছে.......



ঐকমত্যের শুধু একটি স্থান রয়েছে.......
বহুমতের দেশ – আমার বাংলাদেশ। গত আড়াইশ বছরে আমরা একমত হয়েছি সম্ভবত একবার! ডিভাইড এন্ড রুলের যড়যন্ত্রে আমরা হারিয়েছি স্বাধীনতা ১৭৫৭ সালে। তারপর প্রায় দুশো বছর লেগে গেছে ঐকমত্যের কাছাকাছি পৌঁছতে। তাও দ্বিধা-বিভক্ত ঐকমত্য – ভারত ও পাকিস্তান। প্রকৃতপক্ষে গত কয়েশ বছরে আমরা একবার মাত্র একটি ঐক্যমতে পৌঁছাত পেরেছিলাম -১৯৭১ সালে। 

তারপর রক্তমাংশে যে বহুবিভক্তির নেশা, তাকে আবারও কাজে লাগালো বহির্শক্তি। গত চারদশকে বহুবিভক্তির বিভিন্ন ফাঁকে ফাঁকে দুর্নীতি বয়ে চলার জন্য নদী,নালা, খাল, বিল তৈরি করে নিল। পুরো জাতি সে দুর্নীতির সাগড়ে নিমজ্জিত। শীর্ষ নেতা, আমলা বিশেষ করে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা তথাকথিত শীর্ষ উচ্চশিক্ষিতরা দুর্নীতির নেতৃত্বে চরম সাফল্য প্রদর্শন করেছে। তাদের সে সাফল্য আম জনতাকেও ভীষন উদ্বেলিত করেছে। দুর্নীরি নদী, নালার পানি তারাও সমগতিতে পান করছে, হয়ত পরিমানে শীর্ষ শিক্ষিত দুর্নীতিবাজরা একটু এগিয়ে আছে। 

দেশে এমন খাদ্য নাই যাতে বিষ নেই। বিষযুক্ত খাবার সবাই খেয়ে যাচ্ছে। কে কাকে বলবে –সবাই জানে, আমিও দুর্নীতিবাজ, ফরমালিন, কার্বাইড মিশায় তারাও দুর্নীতিবাজ। ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই মহা দুর্নীতিবাজ। দুর্নীতি অব্যাহত রাখতে এবং দুর্নীতির ফলাফলগুলো ভোগ করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে এসব দুর্নীতিবাজরা ভালই ব্যবহার করছে।
দুর্নীতির সাগড়ে প্রমোদ করতে কে না চায়? কিন্তু ফলাফল কি? জলে কতক্ষণ বাস করা যায়? স্থল তো দরকার! দুর্নীতির সাগড়ের যে বহ উসধারা, সেগুলোর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শীর্ষ আমলারা। তারা দুর্নীতির সাগড়ে যাতে জলের সংকট না হয় তার ব্যবস্থা করছে। 

একটি মাত্র পথ খোলা রয়েছে – আরেকটি ঐকমত্য দরকার – যে যে দলই সমর্থন করুক না কেন, দুর্নীতিাবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐকমত্যে পৌঁছানো বোধ হয় সম্ভব!

Saturday, January 7, 2012

২০১৪ সালে ১০ম সংসদ নির্বাচনে ভিন্নরকম বড় পরিবর্তন কি আসন্ন?

২০১৪ সালে ১০ম সংসদ নির্বাচনে  ভিন্নরকম বড় পরিবর্তন  কি আসন্ন?


হঠ্যাৎ যেন টের পাচ্ছি বাংলাদেশে একটি পরিবর্তনের বুনিয়াদ তৈরি হয়েছে। মানুষ প্রার্থী পেলে বেশি খারাপকে প্রত্যাক্ষান করা শুরু করেছে। তা যে দলের প্রার্থী হোক না কেন। 

সুযোগ পেলে মানুষ খারাপ প্রার্থীকে প্রত্যাক্ষান করে! ২০১৪ সালের ১০ম সংসদ নির্বাচনে এরকম অনেকগুলো ঘটনা হয়তো ঘটবে। কিন্তু ঘটনাগুলো বেশি ঘটার জন্য আমাদের করণীয় অনেক কিছু রয়েছে। প্রথমত রাজনৈতিক দলগুলোকে ভাল প্রার্থী দিতে চাপ প্রয়োগ করা, আর ভাল প্রার্থীদেরও উৎসাহিত করা এখনই সংকল্প করা।
সময় কম। প্রস্তুতি নিলে এখনই নিতে হবে। কোন দলের ২০০ থেকে ৩০ –এ কিংবা ৬০ থেকে ২৫০ আসন পাওয়া আসলে কোন বড় পরিবর্তন নয়। দুর্বৃত্ত প্রার্থীদের সংসদে প্রবেশ নিষিদ্ধ করাই সবচেয়ে বড় পরিবর্তন।
লক্ষ্য ১৫০ জন ভাল প্রার্থী।তা কি সম্ভব নয়? একটি আন্দোলন প্রয়োজন – যার নেতৃত্ব আসা দরকার জাফর ইকবাল স্যার, তুষার ভাই, আবু সাঈদ স্যারদের কাছ থেকে। 





আমরা আসলে কী চাই?

আমরা আসলে কী চাই? এক মেডিকেল কোচিং সেন্টারের মালিক ডাঃকে ধরা হয়েছে। গত ১৮ বছরে ৪০০০ ছাত্রকে সে পাবলিক মেডিকেলে অবৈধভাবে চান্স পেতে অর্...