ঐকমত্যের শুধু একটি স্থান রয়েছে.......
বহুমতের দেশ – আমার বাংলাদেশ। গত আড়াইশ বছরে
আমরা একমত হয়েছি সম্ভবত একবার! ডিভাইড এন্ড রুলের যড়যন্ত্রে আমরা হারিয়েছি
স্বাধীনতা ১৭৫৭ সালে। তারপর প্রায় দুশো বছর লেগে গেছে ঐকমত্যের কাছাকাছি পৌঁছতে।
তাও দ্বিধা-বিভক্ত ঐকমত্য – ভারত ও পাকিস্তান। প্রকৃতপক্ষে গত কয়েশ বছরে আমরা
একবার মাত্র একটি ঐক্যমতে পৌঁছাত পেরেছিলাম -১৯৭১ সালে।
তারপর রক্তমাংশে যে
বহুবিভক্তির নেশা, তাকে আবারও কাজে লাগালো বহির্শক্তি। গত চারদশকে বহুবিভক্তির
বিভিন্ন ফাঁকে ফাঁকে দুর্নীতি বয়ে চলার জন্য নদী,নালা, খাল, বিল তৈরি করে নিল।
পুরো জাতি সে দুর্নীতির সাগড়ে নিমজ্জিত। শীর্ষ নেতা, আমলা বিশেষ করে দেশের
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা তথাকথিত শীর্ষ উচ্চশিক্ষিতরা দুর্নীতির নেতৃত্বে চরম
সাফল্য প্রদর্শন করেছে। তাদের সে সাফল্য আম জনতাকেও ভীষন উদ্বেলিত করেছে। দুর্নীরি
নদী, নালার পানি তারাও সমগতিতে পান করছে, হয়ত পরিমানে শীর্ষ শিক্ষিত দুর্নীতিবাজরা
একটু এগিয়ে আছে।
দেশে এমন খাদ্য নাই যাতে বিষ নেই। বিষযুক্ত
খাবার সবাই খেয়ে যাচ্ছে। কে কাকে বলবে –সবাই জানে, আমিও দুর্নীতিবাজ, ফরমালিন,
কার্বাইড মিশায় তারাও দুর্নীতিবাজ। ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই মহা দুর্নীতিবাজ। দুর্নীতি
অব্যাহত রাখতে এবং দুর্নীতির ফলাফলগুলো ভোগ করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে এসব
দুর্নীতিবাজরা ভালই ব্যবহার করছে।
দুর্নীতির সাগড়ে প্রমোদ করতে কে না চায়?
কিন্তু ফলাফল কি? জলে কতক্ষণ বাস করা যায়? স্থল তো দরকার! দুর্নীতির সাগড়ের যে বহ
উসৎধারা, সেগুলোর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শীর্ষ আমলারা। তারা
দুর্নীতির সাগড়ে যাতে জলের সংকট না হয় তার ব্যবস্থা করছে।
No comments:
Post a Comment