আসছে বাজেট > রাষ্ট্রের সমস্ত বিনিয়োগর সব সুফল দুর্নীতিবাজদের পকেটেই যাচ্ছে ?
হয়ত আগামী তিন বছরে বিদ্যুৎ সমস্যার অনেকটা সমাধান হবে। বড় বড় ফ্লাইওভার আর এলিভেটেড এক্সপ্রেসের সুবিধায় অব্যাহতভাবে গাড়ীর সংখ্যা বাড়তেই থাকবে। সে সব গাড়ীতে প্রায় বিনে পয়সায় গ্যাস দেয়া বন্ধ হবে না।
সব কিছু হচ্ছে। কাদের জন্য হচ্ছে? দরিদ্র মানুষের কাছে এবং অবহেলিত দরিদ্র জেলা সমূহে গ্যাস পৌঁছাবে না কখনো কিন্তু দুর্নীতির অর্থে কেনা গাড়ীতে প্রায় বিনা মূল্যে গ্যাস দেয়া হবে। বড়লোক আরো বড়লোক হবে। দুর্নীতিবাজ আরো অর্থের পাহাড় গড়বে।
দুর্নীতির ফলাফল নিয়ে আমরা সবাই কম বেশি জানি। আমরা জানি , দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান হলে
· এপার্টমেন্ট বিক্রি অনেকটা বন্ধ হয়ে যায়,
· বড় বড় ব্যবসায়ী এবং তাদের পোষা বড় বড় সাংবাদিক/সম্পাদকরা কালো টাকা সাদা করার যুক্তি তুলে ধরে বড় বড় কলাম লেখে,
· গাড়ী বিক্রির সংখ্যা কমে যায়,
· জাহাজ ভাঙা শিল্পে শ্রমিকের মৃত্যু সংখ্যা হ্রাস পায়,
· অফিসের ফাইলগুলি গতি হারয়ে ফেলে, ইত্যাদি আরো অনেক কিছু
দুর্নীতিবাজরা মাদকাসক্তের মতই টাকায় আসক্ত। তারা কি দুর্নীতি ছাড়া একদিনও চলবে? অবৈধ টাকার গন্ধ ছাড়া পাগল হয়ে যাবে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এরা দুর্নীতির বীজ বপন করে চলেছে।
যত সাময়িক অসুবিধা হোক না কেন, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে রাষ্ট্রের সমস্ত উদ্যোগ আর সুবিধাদিতে দরিদ্র বেশিরভাগ মানুষ হিস্যা নিতেই পারবে না। বিদ্যুৎ, জ্বালানী, শিক্ষা, স্বাস্থ্যাখাতে সমস্ত সুবিধাদি দুর্নীতিবাজরাই ভোগ করছে। রাষ্ট্র বহুমাত্রিকভাবেই দুর্নীতিবাজদের লালন করছে এবং বড় বড় বিনিয়োগের প্রকৃত সুফল সেই দুর্নীতিবাজরাই পায়।
সরকারের আছে বড় বড় উদ্যোগ - বড় বড় বিনিয়োগে, অভাব শুধু দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে বড় উদ্যোগের। সরকার বলছে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন – বাস্তবায়নের লক্ষন তো দেখা যাচ্ছে না। গত ০৫ বছরে বিগত সরকারের একজনও তো শাস্তি পায় নি।
বাজেটের সুফল সেই ক্ষমতাধর দুর্নীতিবাজদের হাতেই। তারা সদা সক্রিয়, সবল এবং তারাই পরিকল্পনাকে প্রভাবিত ও তৈরী করে।
দুর্নীতিবাজদের সংখ্যা এবং শক্তি বাড়ছেই। আর তা প্রমাণ করে, লাভের ধন দুর্নীতিবাজদের জন্য –বাকিদের জন্য শুধু ঘানি টেনে যাওয়া। কতকাল অসংখ্য মানুষ দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতি অব্যাহত রাখার জন্য ঘানি টেনে যাবে?
ফটো : দি ডেইলি সান
No comments:
Post a Comment