Tuesday, December 27, 2011

বিএনপি এবং আওয়ামীলীগের তিন বছর বিরোধীদল হিসাবে মূল্যায়ণ


 বিএনপি এবং আওয়ামীলীগের তিন বছর বিরোধীদল হিসাবে মূল্যায়ণ 


যদি বিএনপি এবং আওয়ামীলীগের তিন বছর বিরোধীদল হিসাবে মূল্যায়ণ করি –তাহলে বিএনপির শাসনামলে আ.লী. যে সাফল্য দেখিয়েছিল, গত তিন বছরে বিএনপি তার ধারে কাছেও যেতে পারেনি।
  • ·       বিএনপি তেল-গ্যাস নিয়ে একদম নিশ্চুপ। বুঝা যায় আব্বা্দের ধমক
  • ·       টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে ফাজলামি করছে, কাজের কাজ কিছুই করছে না।
  • ·       দ্রব্যমূল্য নিয়ে কিছুই করতে পারছে না।
  • ·       তাদের আন্দোলনে সাধারণ মানুষের কোন সম্পৃক্ততা নেই –নেই মানুষের কোন আস্থা।
  • ·       চড়ম গাধামী করতেছে, যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলে। নতুন প্রজন্মের অনেক সমস্যা আছে কিন্তু তারা কখনই রাজাকারের পক্ষালম্বন পছন্দ করবে না বা করছে না।
  • ·       ইস্যুর কোন অভাব ছিল না। একটাকেও কাজে লাগাতে চড়ম ব্যর্থ হয়েছে। মাঝখানে ৩০ কোটির বোমাবাজীর বদনাম নিচ্ছে।
  • ·       আর মিডিয়া বিএনপির সাথে নেই। বিশেষ করে প্রথম আলো আওয়ামী বিরোধীদের জন্য নতুন প্লাটফর্ম তৈরী করছে  -যা নিশ্চিতভাবেই সফল হবে এবং বিএনপির মৃত্যুঘন্টা বাজাবে।
মিথ্যাবাদী রাখাল ছেলের মতই অবস্থা বিএনপি –এর। সীমাহীন দুর্নীতি, সন্ত্রাস, বিদ্যুৎ খাতে কোন উৎপাদনে না যাওয়া, ভয়াবহ সংখ্যালঘু নির্যাতন  -এর কারণে জনগণ যেমন ২০০৮ –এ প্রত্যাক্ষাণ করেছিল, এখনো তাদের কেউ বিশ্বাস করছে না। কঠিন সমর্থক ছাড়া তাদের সাথে কে্উ নেই। কি হবে উপায়! আমরা এত ভয়াবহ দুর্বল বিরোধী দল দেখতে চাই না। জাতির জন্য এটি লজ্জাকর বিরোধী দল।
(লেখাটি লিখতে ১০-১২ মিনিট ব্যয় হয়েছে এবং একদমে লেখা হয়েছে এবং একবারও চেক করা হয়নি)

Monday, December 5, 2011

অশুভ ১৩ কতটা শুভ! দুর্নীতি চলছে – চলবেই!


অশুভ ১৩ কতটা শুভ! দুর্নীতি চলছে – চলবেই!

দুর্নীতির র‌্যাংকিঙ –এ একটু একটু পিছিয়েছে। জানিনা তাতে বাংলাদেশের মানুষের ক্ষতি কতটা কমল!
কিন্তু দুর্নীতিবাজরা যেভাবে সঙঘবদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশে ততটাই যেন বিচ্ছিন্ন হয়েছে যারা দুর্নীতি থেকে দুরে থেকে স্বচ্ছতার সমাজ গড়তে চায়। সবকিছুইতো দুর্নীতিবাজদের দখলে। তথ্য যা পাই তা দুর্নীতিযুক্ত! 

ইতিহাসের পাতা উল্টালে সবচেয়ে সহজ যে কৌশল আমরা দেখি তা হলো একতাবদ্ধতা – একতার শক্তিকে ব্যবহারে অশুভ শক্তি সবচেয়ে বেশি পারঙ্গম।

সৎ মানুষদের সৃষ্টির শুরু থেকে যে ব্যর্থতা তা হলো ---তারা সহজে একতাবদ্ধ হতে চায় না (দুষ্ট লোকেরা বলে দুর্নীতিবাজরা ডিভাইড এন্ড রুলের মাধ্যমে তাদের একত্রিত হতে দেয় না)।
নিত্যদিনের চলার পথের অভিজ্ঞতা আমাদের বলে দুর্নীতি চলছে মহাসমারোহে  -সর্বএ বেশ আনন্দমুখর পরিবেশে!

অশুভ ১৩ -এর সার্বিক ফলাফল হচ্ছে -বাংলাদেশ এক চমৎকার সুন্দর দেশ, গত ৪০ বছরে এমর একটি স্বাধীন দেশ আমরা গড়েছি যেখানে যে কোন নাগরিক যা ইচ্ছা তাই করতে পারে। ইচ্ছে করলে ধর্ষন করতে পারে, ইচ্ছে করলেই প্রতিদ্বন্দ্বি নেতাদের হত্যা করা যায়, জিনিসপত্রের দাম যা ইচ্ছা তা্ই চা্ওয়া যায়, নদি খাওয়া যায়, লেক দখল করা যায়, দশ হাজার টাকা বেতন পেলেও ৪২ টি এপার্টমেন্ট কেনা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি ইচ্ছা তা্ই নেবেন, দিনের পর দিন মানুষ কেটে নদীতে ফেলে দিতে পারবেন (মাওয়া ঘাটের স্পীড বোট চালকদের গ্যাঙ ) ।

যা চান তাই করতে পারবেন  - শুধু একটি ছাড়া। তা হলো আলোকিত সৎ মানুষদের আপনি কখনই একতাবদ্ধ করতে পারবেন না!

ফটো – কার্টেসি (দি ডেইলি ষ্টার)

Tuesday, September 20, 2011

স্যার, আপনার আলোকিত মানুষগুলো কই?


স্যার, আপনার আলোকিত মানুষগুলো কই? 




অন্ধকারাচ্ছন্ন মানুষের অভাব নেই। দুর্বৃত্তে ভরা পুরো দেশ। যার যা খুশি তা করে যাচ্ছে, দেখার কেউ নেই, বলার কেউ নেই। 

সৎ মানুষদের জন্য বাংলাদেশ হাবিয়া দোজখে পরিণত হয়েছে। যার সামর্থ্য আছে, বাংলাদেশের পাসপোর্ট ছুড়ে ফেলে দিয়ে অন্য দেশকে মায়ের দেশ করে নিচ্ছে। 

দুর্বৃত্ত আর দুর্নীতিবাজদের জন্য বাংলাদেশ জান্নাতৌল ফেরদৌসে পরিণত হয়েছে। এমন লুটপাট, এমন মুনাফাখোরের দেশ পৃথিবীতে আর আছে কিনা স্যার আপনি হয়তো বলতে পারবেন। 

বলার শেষ নেই। জীবনের একটি বড় অংশ স্যার ব্যায় করলেন আলোকিত মানুষ তৈরী করার জন্য। আপনার ভক্তের শেষ নেই। আপনার আলোকিত মানুষদের এ সময়ে সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন। কিন্তু দেখা তো পাচ্ছি না! 

আলোকিত মানুষগুলোকে অন্ধকার হতে বেরুতে বলুন।

Friday, August 26, 2011

জাফর ইকবাল স্যার কি কিছু করবেন?



জাফর ইকবাল স্যার কি কিছু করবেন?



এ কথা খুব পরিষ্কার যে সব দুর্নীতিগ্রস্থ মানুষ কোন না কোন রাজনৈতিক দলকে নিজেকে রক্ষার জন্য বর্ম হিসাবে ব্যবহার করছে। রাজনীতিবিদ-ব্যবসায়ী-সাংবাদিক-আমলারা দুর্নীতির এক দুর্ভেদ্য দুর্গ গড়ে তলেছে গত ৪০ বছরে ।আমরা খুবই অসহায় কারণ আপাত দৃষ্টিতে মনে হয়,দুর্নীতির মহোৎসব চলবে অনাদিকাল।যে সব কারণে এমন মনে হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম দুর্নীতি বিরোধী সংঘব্ধ কিছুই এ মুহুর্তে দৃশ্যমান নয়।দুর্নীতির উচ্ছিষ্টভোগী মানুষও অনেক!

তবুও কিছু মানুষ মনে করছে , দুর্নীতির দুর্ভেদ্য দুর্গ ভাঙতে কিছু করা দরকার। করবে কে? বিশ্বুবিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে বিভিন্ন বুদ্ধিজীবি একই কাজে ব্যস্ত দলাদলি করে কিছু সুবিধা আদায়, কিছু পদবী লাভ আর বিনিময়ে বিভিন্ন দলের নির্লজ্জ সাফাই গাওয়া। আন্না হাজারী পথ দেখিয়েছে  - যখন উচ্চ শিক্ষিতরা দুর্নীতিতে নিমজ্জিত, তখন সাধারণ একজন মানুষ অসাধারণ দায়িত্ব পালন করছে। 


কিন্তু বাংলাদেশে একজন  উচ্চ শিক্ষিত অথচ সাধারণ এবং দেশপ্রেমিক একজন মানুষ আছেন।সবাই যাকে ভালবাসে, শ্রদ্ধা করে (স্বাধীনতা বিরোধী ব্যতীত)-তিনি জাফর ইকবাল স্যার।


যখন সবাই ব্যর্থ, যখন রাজনীতিবিদ-ব্যবসায়ী-সাংবাদিক-আমলাদের কাছে পুরো বাংলাদেশে অসহায়,তখন নির্লোভ একজন খাঁটি মানুষের অপেক্ষায় বাংলাদেশ।


স্যার সিলেট বিশ্ববিদ্যালয়কে আপনি অনেক কিছু দিয়েছেন,গণিতকে ছড়িয়ে দিচ্ছেন দেশের শেষ সীমায় (দুর্নীতির কারণে বিজ্ঞান শিক্ষার হার কমছে বিপদজনকভাবে)- এবার আরও বড় কাজ করুন।


আপনি বললে হাজার মানুষ আসবে, আপনার শিক্ষার্থীরা আসবে, আসবে তরুণ-তরুণীরা।আমরা আপনার প্রতীক্ষায়।




Thursday, May 5, 2011

আসছে বাজেট > রাষ্ট্রের সমস্ত বিনিয়োগর সব ফলাফল দুর্নীতিবাজদের পকেটেই যাচ্ছে ?


আসছে বাজেট  > রাষ্ট্রের সমস্ত বিনিয়োগর সব সুফল দুর্নীতিবাজদের পকেটেই যাচ্ছে ?

হয়ত আগামী তিন বছরে বিদ্যুৎ সমস্যার অনেকটা সমাধান হবে। বড় বড় ফ্লাইওভার আর এলিভেটেড এক্সপ্রেসের সুবিধায় অব্যাহতভাবে গাড়ীর সংখ্যা বাড়তেই থাকবে। সে সব গাড়ীতে প্রায় বিনে পয়সায় গ্যাস দেয়া বন্ধ হবে না।

সব কিছু হচ্ছে। কাদের জন্য হচ্ছে? দরিদ্র মানুষের কাছে এবং অবহেলিত দরিদ্র জেলা সমূহে গ্যাস পৌঁছাবে না কখনো কিন্তু দুর্নীতির অর্থে কেনা গাড়ীতে প্রায় বিনা মূল্যে গ্যাস দেয়া হবে। বড়লোক আরো বড়লোক হবে। দুর্নীতিবাজ আরো অর্থের পাহাড় গড়বে।

দুর্নীতির ফলাফল নিয়ে আমরা সবাই কম বেশি জানি। আমরা জানি , দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান হলে
·        এপার্টমেন্ট বিক্রি অনেকটা বন্ধ হয়ে যায়,
·        বড় বড় ব্যবসায়ী এবং তাদের পোষা বড় বড় সাংবাদিক/সম্পাদকরা কালো টাকা সাদা করার যুক্তি তুলে ধরে বড় বড় কলাম লেখে,
·        গাড়ী বিক্রির সংখ্যা কমে যায়,
·        জাহাজ ভাঙা শিল্পে শ্রমিকের মৃত্যু সংখ্যা হ্রাস পায়,
·        অফিসের ফাইলগুলি গতি হারয়ে ফেলে, ইত্যাদি আরো অনেক কিছু

দুর্নীতিবাজরা মাদকাসক্তের মতই টাকায় আসক্ত। তারা কি দুর্নীতি ছাড়া একদিনও চলবে? অবৈধ টাকার গন্ধ ছাড়া পাগল হয়ে যাবে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এরা দুর্নীতির বীজ বপন করে চলেছে।
                                                                                            
যত সাময়িক অসুবিধা হোক না কেন, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে রাষ্ট্রের সমস্ত উদ্যোগ আর সুবিধাদিতে দরিদ্র বেশিরভাগ মানুষ হিস্যা নিতেই পারবে না। বিদ্যুৎ, জ্বালানী, শিক্ষা, স্বাস্থ্যাখাতে সমস্ত সুবিধাদি দুর্নীতিবাজরাই ভোগ করছে। রাষ্ট্র বহুমাত্রিকভাবেই দুর্নীতিবাজদের লালন করছে এবং বড় বড় বিনিয়োগের প্রকৃত সুফল সেই দুর্নীতিবাজরাই পায়।

সরকারের আছে বড় বড় উদ্যোগ - বড় বড় বিনিয়োগে, অভাব শুধু দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে বড় উদ্যোগের। সরকার বলছে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষন তো দেখা যাচ্ছে না। গত ০৫ বছরে বিগত সরকারের একজনও তো শাস্তি পায় নি।  

বাজেটের সুফল সেই ক্ষমতাধর দুর্নীতিবাজদের হাতেই। তারা সদা সক্রিয়, সবল এবং তারাই পরিকল্পনাকে প্রভাবিত ও  তৈরী করে।

দুর্নীতিবাজদের সংখ্যা এবং শক্তি বাড়ছেই।  আর তা প্রমাণ করে, লাভের ধন দুর্নীতিবাজদের জন্য বাকিদের জন্য শুধু ঘানি টেনে যাওয়া। কতকাল অসংখ্য মানুষ দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতি অব্যাহত রাখার জন্য ঘানি টেনে যাবে?  


ফটো : দি ডেইলি সান

আমরা আসলে কী চাই?

আমরা আসলে কী চাই? এক মেডিকেল কোচিং সেন্টারের মালিক ডাঃকে ধরা হয়েছে। গত ১৮ বছরে ৪০০০ ছাত্রকে সে পাবলিক মেডিকেলে অবৈধভাবে চান্স পেতে অর্...