Saturday, December 1, 2012

দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে গণআদালতের নেতৃত্ব কে দিবে?



দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে গণআদালতের নেতৃত্ব কে দিবে?

দশম সংসদ নির্বাচন খুব বেশি দেরি নেই। পত্রিকা আর টিভি চ্যানেলগুলোও সরকারের সাথে সাথে কাটিয়ে দিল তাদের সময়। সমালোচনা, টক শো আর কত কি! অসভ্যদের, দুর্নীতিবাজদের টিভি চ্যানেলে গিয়ে তাদের থেকে পয়সা নিয়ে জাতিকে সভ্য হবার তালিম দেয়ার অসভ্যতা হয়েছে প্রচুর। দুর্নীতির ফাঁকে ফাঁকে সুন্দরী প্রতিযোগিতার নামে যে দুর্নীতির সংস্কৃতি জাতির রক্তের মধ্যে মিশিয়ে দেয়ার প্রবণতাও ভয়ংকর জোরালো হয়েছে। যে যেখানে পারছে সুযোগ নিচ্ছে। সুযোগ নিতে কেউ ভুল করছে না। 

কিন্তু পরিত্রাণের পথ নিয়ে কাজ করার তাগিদ কতটা এসেছে? যারা টক শো তো দেশ উদ্ধার করেছে, তারা কাদের টিভিতে গিয়ে কথা বলেছে? তাদের নিজেদের সম্পদের হিসাব আছে নাকি সেইসব টিভি মালিকদের সম্পদের হিসাব আছে?


দু’একটা বাজার ফরমালিনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এটা যেন শিক্ষা অফিসকে দুর্নীতিমুক্ত ঘোষণা করার মতই নিস্ফল এক সমাধান। প্রশ্ন হলো, তার মানে বাকি সব বাজারে ফরমালিন হালাল করা হয়েছে?যাদের শ্রমে দেশ চলছে, সে শ্রমিকদের মালিকরা শ্রমিকদের হত্যা করছে, সরকারী সম্পদ দখল করে পুরো দেশটাকে বুঝিয়ে দিচ্ছে, তারাই দেশের মালিক, তারা যা করবে তাই আইন।

এরকম হাজারো উদাহরণ দেয়া যায়। তবে এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ কি খুব কঠিন? বাংলাদেশে তো একটি অসম্ভব ঘটনা ঘটে গেছে এবং তার ধারাবাহিকতা চলবে। সেটি হলো শীর্ষ অসীম ক্ষমতাধর যুদ্ধাপরাধীদের আটক এবং তাদের বিচারকার্য। সেই কবে, মনে পড়ে ১৯৯২ সালের কথা, যখন প্রয়াত শহীদ জননী জাহানারা ইমাম লক্ষ লক্ষ মানুষকে উজ্জিবিত করেছেন। তখন তো হাজার হাজার মানুষ বলেছে, “এটি কখনই সম্ভব নয়”, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলাদেশে হবে না। দীর্ঘ দু দশকের সংগ্রামের ফল হলো যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে চলমান বিচারকার্য।
গত ৪০ বছরে সরবেই লক্ষ লক্ষ দুর্নীতিবাজ দানব তৈরি হয়ে গেছে বাংলাদেশে। দানবরা রাষ্ট্র ব্যবস্থা ,ব্যবসা, পত্রিকা, গার্মেন্টস সহ বিভিন্ন প্রতিষ্টানে ঢুকে পড়েছে। ১৪ কোটি মানুষ দুকোটি দুর্নীতিবাজের কাছে বন্দি। দুকোটি দুর্নীতিবাজ পাকিস্তানী হানাদারদের থেকেও নিষ্ঠুরভাবে দেশটাকে শোষণ করছে, প্রতিদিনই লুণ্ঠন করছে। 

এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য, “গণআদালতে দুর্নীতিবাজদের বিচার” –এর প্রচারাভিযান জোরালো ভাবে চালানো প্রয়োজন। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের মত খুব বেশি শ্রদ্ধাভাজন মানুষ বাংলাদেশে নেই। দলমত নির্বিশেষে সবাই ভালবাসে এমন একজন মানুষ খুঁজলে সম্ভবত জাফর ইকবাল স্যারকেই পাওয়া যাবে। দুর্নীতিবাজরা যাতে আগামী নির্বাচনে কোনমতেই নির্বাচিত না হতে পারে, দেশের প্রতিটি কার্যালয়কে দুর্নীতিমুক্ত ঘোষণা করা, দুর্নীতিবাজদের তালিকা তৈরি করা, দেশের শীর্ষ পাঁচ হাজার সরকারী কর্মকর্তাদের সম্পদের বিবরণী প্রকাশ করা সহ অনেকগুলো কাজ করার জন্য আরেকটি শক্তিশালী প্রচারাভিযান চালাতে হবে।

জাফর ইকবাল স্যারকেই হয়তো সে দায়িত্বটি কাঁধে নিতে হবে।
 

 

Friday, November 23, 2012

দুর্নীতিবাজের আত্মকথা

দুর্নীতিবাজের আত্মকথা

দুর্নীতিবাজের আত্মকথা-
নিযাম দরবেশ
আমার কথা,
যদি পারিস, পারলে ঠেকা
তোরা পারিস শুধু বলতে কথা,করতে সময় নষ্ট,
আসল কাজে তোরা, বড্ড বেশি ব্যর্থ।
কেন করিস চিকার,
কি তোদের দরকার?
একটা চাকরি, কয়টা টাকা বেতন-
তার জন্য কেন এত নাচন কুর্দন!
তোদের কে ব্যস্ত রাখি কত রকম খেলায়-
তা বোঝার মত পাবি না তোরা কোনই সময়।
স্বাধীন হলো দেশ, তাতে লাভ কি হলো তোর?
আমার যাত লাভ তাতে তোরাই জোগানদার!
৪০ বছরে আমরা হয়েছি কতই না অভিজ্ঞ, সমৃদ্ধ;
তোদের মত বোকারা কি করে করবি যুদ্ধ
না পেয়ে, না খেয়ে তোদের এমন হয়েছে দশা-
বিক্রি হয়ে যাওয়ার জন্য তোদের ভীষণ পিপাসা!
চিকারের আড়ালে তোরা কত কি করিস,
এক পেট খাওয়ার জন্য সে আমাদের কাছেই হাত পাতিস!
আমরা দুর্নীতিবাজ, করছি দুর্নীতি মহাসমারোহে,
পারলে ঠেকা, সামর্থ্য যদি তোদের এতটুকুও থাকে।
তোরা কোথায়, আর আমরা কোথায়,
ভাবনা একটু ঠান্ডা মাথায়!
মিছে চিতকার, মিছে কাব্য;
আমরাই আছি, আমরাই থাকবো।
তোরা শুধু করবি চিকার
কর কর কর।

দুর্নীতিবাজের আত্মকথা

দুর্নীতিবাজের আত্মকথা

Thursday, November 8, 2012

ঐকমত্যের শুধু একটি স্থান রয়েছে.......



ঐকমত্যের শুধু একটি স্থান রয়েছে.......
বহুমতের দেশ – আমার বাংলাদেশ। গত আড়াইশ বছরে আমরা একমত হয়েছি সম্ভবত একবার! ডিভাইড এন্ড রুলের যড়যন্ত্রে আমরা হারিয়েছি স্বাধীনতা ১৭৫৭ সালে। তারপর প্রায় দুশো বছর লেগে গেছে ঐকমত্যের কাছাকাছি পৌঁছতে। তাও দ্বিধা-বিভক্ত ঐকমত্য – ভারত ও পাকিস্তান। প্রকৃতপক্ষে গত কয়েশ বছরে আমরা একবার মাত্র একটি ঐক্যমতে পৌঁছাত পেরেছিলাম -১৯৭১ সালে। 

তারপর রক্তমাংশে যে বহুবিভক্তির নেশা, তাকে আবারও কাজে লাগালো বহির্শক্তি। গত চারদশকে বহুবিভক্তির বিভিন্ন ফাঁকে ফাঁকে দুর্নীতি বয়ে চলার জন্য নদী,নালা, খাল, বিল তৈরি করে নিল। পুরো জাতি সে দুর্নীতির সাগড়ে নিমজ্জিত। শীর্ষ নেতা, আমলা বিশেষ করে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা তথাকথিত শীর্ষ উচ্চশিক্ষিতরা দুর্নীতির নেতৃত্বে চরম সাফল্য প্রদর্শন করেছে। তাদের সে সাফল্য আম জনতাকেও ভীষন উদ্বেলিত করেছে। দুর্নীরি নদী, নালার পানি তারাও সমগতিতে পান করছে, হয়ত পরিমানে শীর্ষ শিক্ষিত দুর্নীতিবাজরা একটু এগিয়ে আছে। 

দেশে এমন খাদ্য নাই যাতে বিষ নেই। বিষযুক্ত খাবার সবাই খেয়ে যাচ্ছে। কে কাকে বলবে –সবাই জানে, আমিও দুর্নীতিবাজ, ফরমালিন, কার্বাইড মিশায় তারাও দুর্নীতিবাজ। ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই মহা দুর্নীতিবাজ। দুর্নীতি অব্যাহত রাখতে এবং দুর্নীতির ফলাফলগুলো ভোগ করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে এসব দুর্নীতিবাজরা ভালই ব্যবহার করছে।
দুর্নীতির সাগড়ে প্রমোদ করতে কে না চায়? কিন্তু ফলাফল কি? জলে কতক্ষণ বাস করা যায়? স্থল তো দরকার! দুর্নীতির সাগড়ের যে বহ উসধারা, সেগুলোর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শীর্ষ আমলারা। তারা দুর্নীতির সাগড়ে যাতে জলের সংকট না হয় তার ব্যবস্থা করছে। 

একটি মাত্র পথ খোলা রয়েছে – আরেকটি ঐকমত্য দরকার – যে যে দলই সমর্থন করুক না কেন, দুর্নীতিাবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐকমত্যে পৌঁছানো বোধ হয় সম্ভব!

আমরা আসলে কী চাই?

আমরা আসলে কী চাই? এক মেডিকেল কোচিং সেন্টারের মালিক ডাঃকে ধরা হয়েছে। গত ১৮ বছরে ৪০০০ ছাত্রকে সে পাবলিক মেডিকেলে অবৈধভাবে চান্স পেতে অর্...