Monday, July 27, 2015

বিবেকের কাছে প্রশ্ন রেখে যাই

বারাক ওবামা কেনিয়াতে গিয়ে বাংলাদেশের অর্জন নিয়ে কি কিছু বলেছেন? আমরা কেউ কি জানি? জানলে তো নিশ্চয় সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠতো!! বারাকা ওবামা কিছু বললে তো বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় আনন্দের লহরি বয়ে যায় – নানা রঙে সোশ্যাল মিডিয়ায় রঙিন হয়ে উঠে!

মাত্র ১৩১৪ ডলারের মাথাপিছু আয় নিয়ে (ফিলিপাইনের মাথাপিছু আয়ও ৪০০০ ডলার!) তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে বাংলাদেশ বিশ্বের এক বিস্ময়। যারা হাসাহাসি করতো ‘ডিজি টাল’ বাংলাদেশ বলে, তাদের ভুল ভেঙে দিয়ে দেশটা বহুদূর এগিয়ে গেছে তথ্যপ্রযুক্তিকে সবার কাছে বহুভাবে ব্যবহার উপযোগি করে। শত শত কোটি টাকা নয় হাজার হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে শিক্ষার্থীদের, সাধারণ মানুষদের। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া – পৌছে গেছে ইন্টারনেট। আর লুঙ্গি, গামছা পড়া মানুষগুলোও ইন্টারনেটের সুবিধা পাচ্ছে। 
জমির পরচা থেকে শুরু করে ভর্তি, ভর্তি পরীক্ষা, ই টেন্ডারসহ হাজার উদাহরণ দেয়া যাবে। 

এই লেখা সেই গল্প বলার জন্য নয় – 
বারাক ওবামা, বিল গেটস সহ বিশ্ব যখন বাংলাদেশকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মডেল বলে, সে খবর আমাদের কোন নাড়া দেয় না, আনন্দের লহরি বয়ে যায় না। 
সারা বিশ্ব যখন নিজের প্রচার নিজের ব্র্যান্ডিং নিজে করে, আমরা কী করি? খালি পচাই। দেশটার হাজার হাজার নেতিবাচক খবর দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াকে ডাস্টবিন বানিয়ে রাখি।
আরে ডাস্টবিন ছাড়াও তো অনেক কিছু আছে, নাকি নাই ? আর ডাস্টবিনটা পরিষ্কার করার দায়িত্বটাও তো আমাদের। সেটা কি করছি ? 
নাকি দেশটার নেগেটিভ ব্র্যান্ডিং করার মহান দায়িত্ব নিয়েছি আমরা ?

আমাদের ব্র্যান্ডিং অন্যেরা কেন করবে ? আমরা কি এতটুকু করতে পারি না? নাকি বারাক ওবামা, বিল গেটসকে বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বানাতে হবে ?

সবার বিবেকের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম –
আর কতকাল আমরা দেশটার শুধু খারাপ খবর দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলবো? দেশটা কার ? ইতিবাচক অর্জনগুলো কবে বলবো? কবে আমরা চোখ খুলবে?

Saturday, June 27, 2015

গণ আদালত থেকে গণজাগরণ মঞ্চ এবং ঘাতকদের ফাঁসি : শহীদ জননীর মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের দায়।

৯০ এর গণ অভ্যুত্থানের পরে আরো একটি বড় আন্দোলন গড়ে উঠে বাংলাদেশে। আমার মতো যারা এখন ৪০+ নাগরিক তাদের হৃদয় থেকে 'ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি'র সেই মহান আন্দোলনের ঘটনাবলি কখনোই মুছে যাবে না। লক্ষ লক্ষ মানুষ সেই আন্দোলনে ছুটে যেতেন শহীদ জননীর ডাকে। সারা জাতি একতাবদ্ধ হয়েছিলো ৭১ এর ঘাতকদের বিচারের জন্য। আর গণ আদালতের রায়ের দিনে যত লক্ষ মানুষের সমাবেশ হয়েছিলো, ৭১ এর পরে এতো মানুষ কোন সমাবেশে হয়েছিলো কিনা জানি না।
সেই আন্দোলনে আমার মতো যারা নিয়মিত গিয়েছিলেন, তারা সবাই যেতেন প্রাণের টানে। আন্দোলনের এতই শক্তি ছিলো আমার মতো ঘরকুণো মানুষগুলোও কাতারে কাতারে ছুটে যেতো। সেই আন্দোলন নিয়ে যতটা ইতিহাস লেখা প্রয়োজন ছিলো, হয়তো তার জন্য সময় লাগবে।
কিন্তু মহান সেই আন্দোলনের দাবি কিন্তু সত্যি সত্যি এই বাংলার মানুষ আদায় করছে। হয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের সেই আন্দোলনে যারা ছিলেন তারা সম্ভবত ঘরে থাকতে পারেন নি, গণজাগরণ মঞ্চের সেই আন্দোলনে। আমিও পারি নি। সেই আন্দোলনে নিয়মিত যাওয়ার জন্য আমাকে ব্যক্তিগতভাবে ব্যাপক আর্থিক এবং নানাবিধ সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। এ রকম হাজার হাজার মানুষ নানাভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছে। অনেকেই চাকুরিও হারিয়েছেন।
কিন্তু কেনো গেছি? ওই যে শহীদ জননী হৃদয়ে যে বীজ বপন করে দিয়েছেন, তা তো বয়সের সাথে সাথে আলো বাতাসে ভালোভাবে বেড়ে উঠেছে।
কেন দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত বাংলাদেশের জন্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অপরিহার্য, তা তো বুঝিয়েছেন শহীদ জননী। পাকিস্তানী দালালদের চিনতাম কীভাবে? এরা শহীদ জননীকে 'জাহান্নামের ইমাম ' বলতো। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস - বাংলার মানুষকে শহীদ জননী তাদের বিচারের যে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন তার মৃত্যুর দুই দশক পরে সত্যি সত্যি তা বাস্তবায়িত হচ্ছে।
আমরা যারা অসম্ভব মনে করতাম, শহীদ জননী তা সম্ভব বলতেন এবং তিনি বলতেন বিচার হতেই হবে এবং হবেই। এবং বিচার এখন ঠিকই হচ্ছে।
আমরা হয়তো অনেক কিছু ভুলে যাই। গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন যখন শুরু হয়, গিয়ে দেখি সেখানে শহীদ জননীর কোন কথা নেই, তার ছবি নাই - অনেকের ছবি সেখানে আছে। এই ফেসবুকেই তার প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। আন্দোলনের ৭ম কী ৮ দিনে শহীদ জননীর ছবি শোভা পায়। এবং আস্তে আস্তে তা কেন্দ্রিক হয়ে উঠে। কিন্তু আমার কাছে ওই ৭-৮ দিন খুব তাৎপর্যপূর্ণ। ওই কয়েকদিন কী করে শহীদ জননীকে ভুলে আন্দোলনে চলেছিলো?
একটা আন্দোলনের ফসল পেতে আমরা আড়াই দশক অপেক্ষা করলাম এবং এটি একটি অসাধারণ সফল আন্দোলন। ঠিক ২০০৭ সালেও বিশ্বাস করা অসম্ভব ছিলো যে মহা প্রতাপশালী ( এবং যাদের বিশ্বব্যাপী শক্তিশালী নেটওয়ার্ক আছে) ৭১ এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে এই দেশে!
সেই অসম্ভব ঘটনা ঘটাতে যিনি কোটি মানুষের হৃদয়ে আশা জাগিয়েছিলেন - তিনি শহীদ জননী জাহানারা ইমাম।
এখন সময় হয়েছে, শহীদ জননীর কাছে এ জাতির অনেক দায় আছে, ঋণ আছে - তা কিছুটা শোধ করার।
অনেক কিছুই তার জন্য আমাদের করতে হবে। আপাতত একটা বিশ্ববিদ্যালয় চাই তাঁর নামে যেখানে ৭টি হল থাকবে ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠদের নামে।
শহীদ জননী ঘুমিয়ে আছেন, আমরা জেগে আছি। ৭১ এর ঘাতকদের বিচার অব্যাহত রেখেই আমরা তার আত্মাকে শান্তি দিতে পারবো। এ বিচার অব্যাহত রাখাও দুর্গম গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার পারি দেবার মতোই।
সাত সাগড় রক্তের বিনিময়ে যে জাতি স্বাধীনতা এনেছে, সেই জাতি ঘাতকের বিচারে আরো ত্যাগ স্বীকার করবেই করবে, তবু যে আগুন শহীদ জননী জ্বালিয়ে গেছেন, ঘাতকের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত সে অগ্নিশিখা জ্বলবে আমাদের চেতনায়।

Monday, May 25, 2015

শুভ উদ্যোগ -৩ : ‘কমিউনিকেশন স্কিলস ও ব্র্যান্ডিং’


যোগাযোগ দক্ষতাই ব্যক্তিজীবন, কর্মজীবন, সামাজিক জীবন - তিন ক্ষেত্রেই সাফল্যের প্রথম চাবি। আপনি জীবনে যাই করুন না কেন আপনার উন্নতির প্রথম চাবি , ‘কমিউনিকেশন স্কিলস ও ব্র্যান্ডিং’। সেই চাবি থাকলে জীবনের যে কোন ধাপে, যে কোন সময়ে, যে কোন ক্ষেত্রে উন্নয়নের দরজাগুলো আপনি সহজেই খুলতে পারবেন। আপনি এগুতে থাকবেন আর প্রশান্ত হৃদয়ে আপনার আত্মবিশ্বাস থাকবে তুঙ্গে। তো সেই স্কিলসগুলো জানতে বা শিখতে চান , অথবা আপনি অনেক ভালো, আরেকটু শানিত হতে চান এই বিষয়ে? তবে দেখা হবে, ১২-১৩ জুন ২০১৫ এ।
সোশ্যাল মিডিয়া এখন সবার ব্র্যান্ড গড়ার বিশাল সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াকে নিজের সাফল্যের জন্য কীভাবে ব্যবহার করা যায়, তাও জানবেন এই দুই দিনের সেসনে।
যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে আপনার সাইকোলজির ধারণা খুব জরুরি, যেটি আমরাই প্রথম চিন্তা করেছি - দুই এর মিশ্রণেই দক্ষতা বাড়বে। দুদিনের এত সহজ সেসনগুলো (১৫ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থেকে যা তৈরি করা হয়েছে) বাংলাদেশে আর কোথাও শেখার সুযোগ নেই। যারা রিসোর্স পারসোন থাকবেন তারা একটি পয়সাও এখন থেকে নেন না বরং খরচের একটা অংশ বহন করেন। এটি আমাদের স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ। তবে আপনাদের নিজেদের খাওয়া এবং ভেন্যু ভাড়া বহন করতে হবে। যেটা আমরা প্রত্যেকই প্রত্যেকেরটা দিয়ে থাকি।
বিস্তারিত জানতে , যোগাযোগ nizam160374@gmail.com

আমরা আসলে কী চাই?

আমরা আসলে কী চাই? এক মেডিকেল কোচিং সেন্টারের মালিক ডাঃকে ধরা হয়েছে। গত ১৮ বছরে ৪০০০ ছাত্রকে সে পাবলিক মেডিকেলে অবৈধভাবে চান্স পেতে অর্...